মাহাবুবুল আলম মুন্না-
বাংলাদেশ ঋড়খতু দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও,আমরা সাধারণত তিনটি খতু দেখতে পাই।গ্রীষ্ম,বর্ষা ও শীত।এখন শীত শেষ।গ্রীষ্মের আগমন।গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ঊঠেছে।তীব্র গরমে দেখা দেয় শরীরে নানা ধরনের সমস্যা।এর মধ্যে অন্যতম হিটষ্ট্রোক।দীর্ঘ সময় প্রচন্ড গরমে থাকায় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর ঊপরে ঊঠে গেলে হিটষ্ট্রোক হয়।এ অবস্হায় শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে হিটষ্ট্রোকের লক্ষ্যসমূহ-
শরীর প্রচন্ড ঘামতে শুরু করে আবার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।নিশ্বাস দ্রুত হয়।নাড়ির অস্বভাবিক হ্রদয়স্পন্দন হয়।রক্তচাপ কমে যায়।প্রশাবের মাত্রা কমে যায়।হাত পা কাপা ও শরীর খিচুনি হয়। মাথা ব্যাথা হয়।মাথা ঝিমঝিম করে।ব্যবহারে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়।কথা বার্তায় অসংলগ্ন প্রকাশ পায়।
করনীয়-
হিটষ্ট্রোকের লক্ষন দেখা দিলে প্রথমে তাপ কমানোর জন্যে ঠান্ডা বরফ পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন।আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যথাসম্ভব শীতল পরিবেশে নিয়ে আসুন।শরীরে কাপড় যথা সম্ভব খুলে ফেলুন।জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসুন।
যেকোন বয়সের মানুষের হিটস্ট্রোক হতে পারে।তবে শিশু ও বৃদ্ধদের হিটস্টোকের ঝুঁকি বেশী।
হিটস্ট্রোকে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।তাই সুস্হ থাকার জন্যে দিনে অন্ততপক্ষে দুইবার গোসল করুন।তরল জাতীয় খাদ্য বেশী করে খান।দৈনিক আট-বার গ্লাস পানি পান করুন।বাইরে গেলে সানগ্লাস এবং ছাতা ব্যবহার করুন।বাইরে খোলা ফল ও শরবত পান করা থেকে বিরত থাকুন।ইন্টারনেট থেকে-
আপনার মতামত লিখুন :