[gtranslate]

হতাশাঃ-নেতিবাচক-অসুস্হ প্রবৃত্তি শৃংখলাহীন ঊম্মাদ প্রানীর মত-


ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : আগস্ট ৪, ২০২২, ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ / ২২৪
হতাশাঃ-নেতিবাচক-অসুস্হ প্রবৃত্তি  শৃংখলাহীন ঊম্মাদ প্রানীর  মত-

মাহাবুবুল আলম মুন্না।             (২ য় অংশ)

বেশী সূখের পিছনে দৌড়ে অসুস্হ প্রবৃত্তি সম্পন্ন হওয়া থেকে বিরত না থাকলে জীবন শৃংখলা হীন ঊম্মাদ প্রানীর মত হবে।

বিজ্ঞানের তাক লাগানো অগ্রগতি পাল্টে দিয়েছে আধুনিক মানুষের জীবন। সমূলে বদলে  গেছে জীবন-যাপনের ধরন।স্যাটেলাইট চানেল,ফেসবুক টুইটার সহ বহুরকম অ্য্যপস ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে আজকের মানুষ।প্রতি মুহুর্তে তাকে সামলাতে হচ্ছে অগননন তথ্যের অভিরাম স্রোতে।এমন কঠিন ভীড় এড়িয়ে সে ঘরে ফিরে নিরিবিলিতে একটি দম ফেলার আশায়।

ঘর যদি হয় পন্যে বোঝাই তা কি পারে তার জীবনকে আনন্দময় তুলতে? দিতে পারে কি একটু শান্তি? পাশ্চাত্যের সমাজ বিজ্ঞানীরা নেমে পড়েছে সে ঊত্তর খুঁজতে।পৃথিবীতে ভোগ্যপন্যের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র।বিশ্ব্রজুড়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত আকর্ষনীয় আর নিত্য নতুন সব পন্যের বিজ্ঞাপন নিয়ে মার্কিনীদের দুয়ারে হাজির হয়।প্রয়োজন থাকুক আর নাই থাকুক তারা কিনছেও দেদারসে।ক্রমশ ভরিয়ে তুলছে ঘরবাড়ী।খালি নাই বাড়ীর ব্যাজম্যান্ট,গ্যারেজ,বারান্দা-ঊঠানসহ কোন কিছুই।

মনেবিজ্ঞানীরা মার্কিনীদের পন্যে কিনার এই অস্বাভাবিকতার নাম দিয়েছে” হাইপারঅ্যাকুইজিশন”।

এই নিয়ে এক দশকের দীর্ঘ গবেষনার পর গবেষকেরা তাদের মতামত জানিয়েছে।

নৃবিজ্ঞানী ইলেনর ওকস এর মতে,অতিরিক্ত পন্যে কিনা ও সংগ্রহের প্রবনতা মানুষকে শান্তি দেয় না বরং বরং তা এক দুশ্চিন্তা ও অবসাদের কারন হয়।”

মার্কিনীদের প্রসংগে অর্থনীতিবিদ ভিক্টর লেবো বলেন,”মার্কিনীদের জীবনের মূখ্য উদ্দেশ্যে ভোগবাদিতা।খাওয়া দাওয়া আর ফুর্তির মাঝে তারা জাগতিক সূখ ও আত্মিক মুক্তির সন্ধান করে চলেছে।কেনাকাটার লাগামহীন এই হিড়িক মার্কিনীদের আটকে ফেলেছে পন্যে দাসত্বের শিকলে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় এর মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক স্টেফানি প্রেস্টান তার দীর্ঘ পর্যবেক্ষন থেকে বলেছেন ,”যখন কেঊ দূশ্চিন্তা গ্রস্থ ও বিষন্ন থাকে তখন কেনকাটার ব্যাপারে তার আগ্রহ আরো তীব্র হয়।”

 

বিডি টুডে নিঊজ এর সাথে থাকুন