কোন স্হান,সময় বস্তু বা কর্মকে অশুভ ,অযাত্রা বা অমংগলময় সময় মনে করা ইসলামী বিশ্বাসের ঘোর পরিপন্তি একটি কুসংস্কার।এখানে লক্ষ্যনীয় যে আরবের মানুষেরা জাহেলী যুগ থেকে সফর মাসকে অশুভ ও বিপদাপদের মাস বিশ্বাস করতো।রাসূল সাঃ তাদের এই কুসংস্কারের প্রতিবাদ করে বলেন,”কোন অশুভ অযাত্রা নেই,কোন ভূত-প্রেত অতৃপ্ত আত্না নেই,এবং সফর মাসের অশুভত্ব্রর কোন অস্তিত্ব নাই।”…..১৫(বুখারি-২১৫৮)
অথচ এর পরেও মুসলিম সমাজে অনেক মধ্যে পূরবর্তী যুগের এ সকল কুসংস্কার থেকে যায়।এ সকল কুসংস্কারকে ঊস্কে দেওয়ার জন্যে অনেক বানোয়াট কথা হাদিসের নামে বানিয়ে সমাজে প্রচার করছে জালিয়াতগন।এসব জাল কথার মাঝে রয়েছে এ মাস বালা মুসিবতের মাস।এ মাসে এত লক্ষ এত হাবীলা নিহত হয়।এ মাসে নূহের আঃ এর কওম ধ্বংস হয়।এ মাসে ইব্রাহিম আঃ কে আগুনে ফেলা হয়।… এ মাসের আগমনে রাসূল সঃ ব্যথিত হতেন।এ মাস চলে গেলে খুশি হতেন।তিনি বলতেন,”যে ব্যাক্তি আমাকে সফর মাস অতিক্রান্ত হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করবে,আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করার সুসংবাদ প্রদান করবো।”… ইত্যাদি অনেক কথা তারা বানিয়েছে।আর অনেক ধর্মপ্রান বুজুর্গও তাদের এসব জালিয়াতি বিশ্বাস করে ফেলেছেন।মুহাদ্দিসগন একমত যে,সফর মাসের অশুভত্ব ও বালা মুসিবত বিষয়ক সকল কথাই ভিত্তিহীন মিথ্যা।
সফর মাসের শেষ বুধবার কোন প্রকার বিশেষত্ব হাদিস দ্ধারা প্রমানিত নয়।এই দিনে কোন রুপ ইবাদত,সালাত,সিয়াম,জিকির,দোআ,দান সাদকা ইত্যাদি পালন করলে অন্য কোন দিনের চেয়ে বেশী বা বিশেষ কোন সাওয়াব বা বরকত লাভ করা যাবে বলে ধারনা করা ভিত্তিহীন বা বানোয়াট কথা।এজন্যে আল্লামা আব্দুল হাই লাখনবী লিখেছেন,”সফর মাসের শেষ বুধবার যে বিশেষ নফল সালাত বিশেষ করে কিছু সূরা আয়াত ও দোআ পাঠের মাধ্যমে আদায় করা হয়,তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।দোআ দিয়ে গোসল বা পানি খাওয়ার প্রচলনও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
বিডি টুডে নিঊজ
ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাংগীর(রাহিমাহুল্লাহ) এর বই অবলম্বনে রচিত-
আপনার মতামত লিখুন :