শিল্প ব্যাক্তিত্ব সাইফুল আলম মাসুদ।ছবি-সংগৃহীত
মাহাবুবুল আলম মুন্না
১৯৯৫ সনে তার মামা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ওশিল্পপতি আখতারুজ্জামান চৌং এর প্রেরনায় ওসহযোগীতা নিয়ে এস আলম স্টীল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি শিল্প ব্যবসার সাথে যুক্ত হন।কর্নফুলী নদীর তীরে তিনি গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন শিল্প কারখানা।বর্তমানে এস আলম গ্রুপের অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে।যা জাতীয় অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।নব্বই দশকের পূর্বে তিনি ট্রেডিং ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন।তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত আমদানিকারক।এস আলম গ্রুপের পচিশটিরও অধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে পটিয়াসহ সব জেলার লক্ষাধিক লোক।
পরিবহন সেক্টরেও এস আলম গ্রুপের অবদান অনস্বীকার্য।এস আলম সার্ভিস এখন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের নিকট সন্তুষ্টি এবং বিশ্বাসের প্রতিক।অদ্যবদি এই পরিবহনটি দেশের পরিবহন সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
শিল্প প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি বেসরকারি বানিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেন।সেখানেও তিনি সফল।তিনি অনেকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।বীমা ব্যবসায়ও তার সফলতা রয়েছে।তার এই সফলতার পিছনে রয়েছে সততা,কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠা।তিনি একজন দেশের শীর্ষ স্হানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়িক মহলের মডেল।
প্রিন্ট মিডিয়া ও বিদ্যুৎ প্রকল্পে তিনি বিনিয়োগ করেছেন।তিনি টিভি চ্যানেল একুশে টিভির কর্নধার।বেসরকারী বিদ্যুৎ খাতে দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারার নির্মানাধীন এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট।কয়লা ভিত্তিক ১৩২০ মেগওয়াটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭০ শতাংশ এর মালিকানা এস আলম গ্রুপের।
তিনি অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্টানের তিনি পৃষ্টপোষকতা করেছেন।এলাকার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে পটিয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করার পরিকল্পনা আছে।ইতিমধ্যে তিনি কাজও শুরু করেছে।তার প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলের নাম এস আলম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ।দেশের বেকারত্ত্ব দুরীকরনে তার অবদান ঊল্লকযোগ্য।দেশের এবং এলাকাবসীর চাকুরীকে তিনি অনেক সহজলভ্য করে দিয়েছেন।
তিনি তার এসব বিশাল কর্ম পরিচালনা করার জন্যে গড়ে তুলেছেন একটি সুদক্ষ ও সুশিক্ষিত কর্মীবাহিনী।যারা প্রতি নিয়ত অত্যন্ত দক্ষতার সহিত তার সুবিশাল কর্মগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছে।এসব কর্মীবাহিনীর নিষ্ঠা,সততা ও দায়িত্ব নজরকাড়ার মত।এই কর্মী বাহিনীর সার্বিক পরিচালনা ও নেতৃত্বে আছে আকিজ ঊদ্দিন চৌধুরী।তিনি সদালাপী,সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যাক্তি।অসংখ্য লোককে চাকুরী দেওয়ার ব্যাপারে তার সহযোগীতা ও আন্তরিকতা ছিল জন নন্দিত।বর্তমানে তিনি গ্রুপ চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত সহকারী হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
বাবা-মা ভক্ত শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদ এর জম্ম চট্টগ্রামের পটিয়া ঊপজেলার এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে।ধনীর অহংকার তাকে ধার্মিকতা থেকে পিছু হটাতে পারেনি।ধর্মের প্রতি ছিলেন অবিচল।তিনি ছিলেন ধর্মপরায়ন,নিরঅহংকারী ও পরপোকারী।ন্যায় পরায়নতা ও সততার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আপোষহীন।তিনি রাজনীতি করেনি,তবে রাজনীতিবিদদের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল।এলাকাবাসীর টানে তিনি বার বার ফিরে যেতেন গ্রামের গন মানুষের কাছে।থাকতো না কোন প্রটৌকল।মিশে যেতেন অতি সাধারন মানুষের সাথে।দানের ক্ষেত্রে তিনি অকৃপণ। তিনি সম্পদের অপচয় করেনি,বিনিয়োগ করেছেন।বিদেশী বিনিয়োগ দেশে এনেছেন।তিনি ছিলেন ধর্মীয় সৌখিন।বিলাসিতায় নয়।ভোগবাদী নয়,ত্যাগী।তার সততা ওধার্মিকতা দেশের মানুষের নিকট চির স্মরনীয় ও শিক্ষনীয় হয়ে থাকবে। তিনি দেশের গৌরব।চট্রগ্রামবাসীর অভিবাবক। তাহার দীর্ঘায়ু ও সর্বাংগীন কল্যান কামনা করছি।
বিডি টুডে নিউজ
চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত/
আপনার মতামত লিখুন :