[gtranslate]

শোষিত ও বন্চিত মানুষের প্রেরনার ঊৎস, বংগবন্ধুর ৭ ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষন-


ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : মার্চ ৭, ২০২২, ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ / ২৬১
শোষিত ও বন্চিত মানুষের প্রেরনার ঊৎস, বংগবন্ধুর ৭ ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষন-

মাহাবুবুল আলম
১৯৭১ সনের ৭ ই মার্চ বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনতার ঊদ্দেশ্যে তার জীবনের শ্রেষ্ঠতম ও ঐতিহাসিক ভাষনটি দিয়েছিলেন তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে(সোহরাওয়ার্দি ঊদ্দ্যান)তিনি অগ্নিঝরা ভাষন দেন।শোষিত ও বন্চিত মানুষের অব্যক্ত কথা যেন বের হয়ে আসে বংগবন্ধুর সেই ভাষনের প্রতিটি ঊচ্ছারনে,প্রতি বর্ণে ও প্রতিটি শব্দে।বংগবংবন্ধুর প্রতিটি ঊচ্ছারন ধব্নিত হতে থাকে সাথে মানুষের প্রানে।গগনবিদারী আওয়াজ তুলে বংগবন্ধুর সেই ভাষনকে সমর্থন জানায় সাথে জনতা।ঐতিহাসিক সেই ভাষন এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

সকাল থেকে চারদিক থেকে মানুষের ঢল নামে রেসকোর্স ময়দানে।সাথে জনতার পদভারে ঢাকা পরিনত হয় উদ্বেলিত নগরে।অলিগলি থেকে সকাল হতে মানুষ আসতে থাকে দলে দলে রেসকোর্স ময়দানে।

বংগবন্ধু জনসভায় আসতে একটু বিলম্ব করেন।স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়া হবে কি হবে না এ নিয়ে দ্বিধা তখন রুদ্ধদার বৈঠক ও বিতর্ক চলছে।পরে বংগবন্ধু শুরু করেন তার শ্রেষ্ঠতম ও ঐতিহাসিক ভাষন এভাবে-“আজ দু:খ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।আপনারা সকলে জানেন এবং বোঝেন,আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করছি,কিন্তু দু:খের বিষয়,আজ চট্টগ্রাম,ঢাকা,রাজশাহী,খুলনা ও রংপুর আমার ভাইদের রক্তে রাজপথ রন্জিত হয়েছে।আজ বাংলার মানুষ বাঁচতে চাই,বাংলার মানুষ মুক্তি চাই,বালার মানুষ অধিকার চাই।আমি বলেছিলাম,ইয়াবিয়া খান সাহেব আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট,দেখে যান কিভাবে আমার পরীব মামুদের ঊপর,আমার বাংলার মানুষের বুকের ঊপর গুলি করা হয়েছে।কি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে,আপনি আসুন।আপনি দেখুন সহজমিনে।২৫ তারিখ এসেম্বলি ডেকেছে।রক্তের দাগ সুতাই না।রক্তে পা দিয়ে,শহীদের ঊপর পাড়া দিয়ে,এসেম্বলি খোলা চলবে না।সামরিক আইন মার্শাল ল ঊইথড্র করতে হবে।
শাসক শ্রেনীর সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায়,পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।ভাষনে তিনি বলেন,এরপর যদি আরেকটি গুলি চলে,আমার একটি লোককেও যদি হত্যা করা হয়,তাহলে প্রত্যেকেই ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।আমি যদি তোমাদের হুকুম দিবার নাও পারি,তোমরা সব বন্ধ করে দিবে।আমরা ভাতে মারবো,পানিতে মারবো।সৈন্যরা,তোমরা আমাদের ভাই,তোমরা ব্যারাকে থাকো॥তোমাদের কেউ কিছু বলবে না।কিন্তু তোমরা আর গুলি করার চেষ্টা করো না।আমরা যখন মরতে শিখেছি,কেউ আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।রক্ত যখন দিয়েছি,রক্ত আরো দিব।এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো,ইনশাআল্লাহ।এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।ঐদিন বংগবন্ধুই ছিলেন একমাত্র বক্তা।
বংগবন্ধু ভাষনের পূর্বেই আ স ম আবদুর রব,নুরে আলম সিদ্দকী,শাহাজাহান সিরাজ,আব্দুল কুদ্দুস মাখন ও আবদুর রাজ্জাক প্রমূখ নেতৃবন্দসহ মাইক থেকে নানান শ্লোগান দিয়ে উপস্হিত জনতাকে উজ্জিবিত রাখেন।
ছবি- সংগৃহীত