[gtranslate]

শর্ত সাপেক্ষে চুক্তিপূর্বক বিয়ে,চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতির-


ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৮, ২০২২, ২:৪২ অপরাহ্ণ / ৩৮০
শর্ত সাপেক্ষে চুক্তিপূর্বক বিয়ে,চট্টগ্রামের বিশিষ্ট  শিল্পপতির-

মোং খলিলুর রহমান॥ছবি- সংগৃহীত

স্বামী যদি বেঁচে না থাকে তাহলে একজন মুসলিম স্ত্রী তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তিরতে নির্ধারিত অধিকার ভোগ করেন।
স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রীকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বন্চিত করা যায় না।

কিন্তু দেশের এক বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠির মালিক খলিলুর রহমান বিয়ে করার সময় এমন এক অদ্ভুত চুক্তি করেছেন।যাতে লেখা আছে,সম্পর্ক ছিন্ন হলে কিংবা খলিলুর রহমান মারা গেলে তার স্হাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা দাবী করতে পারবে না স্ত্রী।

২০২১ সনে ১১ই জানুয়ারী তিন পাতার এই চুক্তি করার পরে একই তা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে রেজিষ্ট্রী করা হয়।ঐ চুক্তিপত্রে ঊল্লখ করা হয়,১ম পক্ষ ও ২য় পক্ষ এতে অপরের পরিচিত।সেই সূত্র ধরে তারা একে অপরে ভালবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

এখানে ১ম পক্ষ হলেন খলিলুর রহমান(কেডিএস গ্রুপ)(৭৭) আর ২ য় পক্ষ হলেন ৪৩ বয়সের চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার একজন নারী।তিনি চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সচিব অভিক ওসমান চৌধুরীর ভাতিজী।

ছয় শর্ত সাপেক্ষে ঊক্ত বৈবাহিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে চুত্তিপত্রে ঊল্লেখ করা হয়।
১ম শর্ত-চুক্তির মর্ম হতে ১ম পক্ষ ও ২য় পক্ষ রিজিষ্ট্রকৃত কাবিননামা মিলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।

২য শর্ত- ১০ লক্ষ টাকা বিবাহের মোহরানা ধার্যকরা হয়।তৎমধ্যে কাবিনামা রেজিষ্ট্রীর দিন দেনমোহর বাবত ১ম পক্ষ সাত লক্ষ টাকা ২য পক্ষকে নগদে পরিশোধ করবেন।বাকী তিন লক্ষ টাকা পে অর্ডার মূলে পরিশোংধ করবেন।

তৃতীয় শর্ত- বিবাহের পর ভভয়পক্ষ স্বামী স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন যাপন করবেন।
চতুর্থ শর্ত-১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে স্ত্রী হিসেবে যাবতীয় ভরনপোষন ও সমাজিক মর্যাদা প্রদান করবেন।
৫ম শর্ত-২য় পক্ষ বিবাহের বিষয়ে ১ম পক্ষের পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের সহিত শেয়ার করবেন না।
৬ষষ্ঠ শর্ত-খোদা না করুক কখনো কোন সময় যদি পক্ষগনের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয় কিংবা ১ম পক্ষের মৃত্যু ঘটিলে ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের মালিকানাধীন স্হাবর ওঅস্হাবর সম্পত্তি দাবী দওয়া করতে পারবে না বা করলেও সর্ব আদালতে সব ক্ষেত্রে অগ্রাহ্য হবে এবং অত্র চক্তিপত্র বলবৎ থাকবে।
চট্টগ্রাম সদরের সাব রেজিষ্টার আশরাফ ঊদ্দিন ভূইয়ার নিকট জানতে চাইলে,তিনি বলেন,চুক্তপত্র হচ্ছে ঊভয়ের সম্মতিতে একটি দলিল।কখনো আদালত চাইলে তারা তা উপস্থাপন করতে পারে।আমরা শুধু ফুল নিয়ে রেজিষ্ট্রি করি।চুক্তিপত্রে যা লেখা আছে তার দায়ভার স্বাক্ষরদাতাদের।
একজন সিনিয়র আইনজীবি এই প্রসংগ বলেন,এই ধরনের চুক্তির কোন আইনগত ভিত্তি নাই।ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী স্ত্রী অধিকার স্ত্রীকে দিতে দিতে হবে।চুক্তি করে স্ত্রীর অধিকার বন্চিত করা যাবে না।প্রতিষ্ঠানের আইন ঊপদেষ্ঠা চুক্তি বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

সূত্র- একুশে পত্রিকা
বিডি টুডে নিউজ ডেস্ক-