[gtranslate]

শপিং এর নেশা একটি মানসিক রোগ-


ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : মার্চ ২৩, ২০২২, ২:০৬ পূর্বাহ্ণ / ২৪৮
শপিং এর নেশা একটি মানসিক রোগ-

মাহাবুবুল আলম মুন্না-

কেনাকাটায় মেটে প্রয়োজন।মাঝে মধ্যে “ঊন্ডো শপিং”(কনার লক্ষে বের হয়নি,তবে একটু ঘোরাঘোরি করে,ছোটখাটো কিছু কিনে,মনের সাধ মেটানো)মনকে করে ফুরফুরে।অনেক সময় মন খারাপ থাকলে বা মাথায় রাগ চড়লে,শপিং হল মন ভাল করে দেওয়ার মন্ত্র!

তবে এমন যদি হয়,আপনি যা দেখছেন,তাই কিনতে ইচ্ছে করছে।আর সেটা না কিনা পর্যন্ত কিছুই ভাল লাগছে না।শেষমেশ কিনেই ফেললেন।তারপর আরো একটা কিছু কিনতে ইচ্ছে করল।আর এভাবে মাস শেষে গিয়ে আবিষ্কার করলেন,এমন কিছুই কিনে ফেললেন,যেগুলো কোথায় রাখবেন,কি করবেন,ভেবে পাচ্ছেন না।অবস্হা যদি এমন হয় তাহলে আপনি “শপঅ্যপলিক”।তার মানে আপনি কেনাকাটায় আসক্ত।হ্যাঁ,অবশ্য প্রয়োজন ছাড়া কেনাকাটা করাও একটি নেশা।কেবল নেশাই নয়।এটি একটি মানসিক রোগ।অর্থাৎ শপঅ্যহলিক।

দোকানে গেছেন খুব প্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন,কিন্তু বাসায় ফিরে এলেন হাতভর্তি কেনাকাটার ব্যাগ নিয়ে।এমন যদি দু একবার হয়,তবে বুঝতে হবে এটা সাধারন।তবে যখনই বাজারে যাচ্ছেন,তখনই  এমন হওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়।অর্থাৎ নিজের মলকে কোনভাবেই কেনাকাটা থেকে দুরে রাখতে না পারাটাই একটা মানসিক রোগ।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে,শপঅ্যপলিক মানুষ আসলে মানসিক রোগে আক্রান্ত।যার আভিধানিক নাম” কম্পাল্সিভ বায়িং ডিসওর্ডার।কেনাকাটায় আসক্ত মানুষের আচরনে কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

দোকানে গিয়ে কিছু কেনার সময় শপঅ্যহলিক লোকদের শরীরে”অ্যাড্রেনালিন” এর গতি বেড়ে যায়।এটা তাদের একটা সাময়িক সূখের অনুভূতি দেই।অনেক উচ্চবিত্ত আর ঊচ্চমধ্যবিত্ত আবার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক হতাশা,বিষন্নতা থেকে দূরে থাকতে “ঊড়াধুরা”কেনাকাটা করেন।কেনাকাটা করে তারা অনেক সময় যেটা কেনেন ,সেটার প্যাকেটও খুলে দেখেন না।অন্যদেরও দেখান না,ব্যবহারও করেন না।কিনলেন এ পর্যন্ত।আবার নতুন কিছু কেনার জন্যে অস্হির হয়ে পড়েন তারা।এখন অবশ্যই  অনলাইন হয়ে পড়ায়,শপঅ্যপলিক হওয়া আরো সহজ হয়েছে।২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষনায় দেখা যায়,তারা অন্তত সপ্তাহে তিন দিন শপিং যায়।আবার অনেককে দেখা গেছে,তারা প্রতিদিন একটা সময় শপিং এর জন্যে বরাদ্ধ রাখেন।

কেনাকাটায় মন ভাল হয়।রাগ এবং মনের উপর চাপ কমে। কিন্তু কেনাকাটা করে হাতের সব টাকা শেষ করে ফেলাই বড় সমস্যা।এ সমস্যার সমাধান কিন্তু কঠিন।তবে অসাধ্য নয়।সমাধান হল,নিজের কাছে টাকা না রাখা।কাছের সম্পর্কগুলোর সাথে যত্নশীল হওয়া।ছবি আঁকা,বাগান করা,ও নতুন কোন কাজে যোগ দেয়া।

প্রথম আলো থেকে

সংগৃহীত

বিডি টুডে নিঊজ-