মাহাবুবুল আলম-
সাধারনত মানুষ আনন্দে থাকলে হাসি থাকে।এ হাসি মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে।আমাদের মাঝে এমন কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা সব সময় মূখে হাসি ধরে রাখেন।শত সমস্যা,ঝামেলাতেও তাদের ঠোঁটের কোলে হাসিটা লেগে থাকে।এভাবে হাসিমূখে থাকার ফলাফল-
আমরা হাসতে শুরু করলে শরীর থেকে এন্ডোর্ফিন নামে একটি হর্মোন বের হয়।এহরমোনটি আমাদের মন মেজাজ ভাল রাখে।যার ফলে আমরা আনন্দ অনুভব করি।এছাড়াও মূখ হাসি সহ সময় ধরে রাখলে শরীর থেকে ডোপামিন,সেরোটমিন হরমোনের বের হয়।শরীরে এ ধরনের হরমোনের খুব ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।প্রথমত উদ্বেগ কমে যায়।কমে ঊচ্চ রক্ত চাপও।শরীরে নানান ব্যাথা বেদনা রোধ হ্রাস পায়।অবসাও দূরে থাকে।মনে সব সময় একটা হাসি খুশি ভাব বিরাজ করে যা অন্যেদের চোখ এড়াত না
মূখে হাসি ঝুলিয়ে রাখার আরো নানান সুবিধা আছে-
*অফিসে ঊন্নতি-বেশ কিছু গবেষনায় দেখা গেছে,যে কর্মীর মূখে সর্বদা হাসি থাকে ঐ কর্মীর সৃজনশীলতার সাথে ঊৎপাদনশীলতা থাকে।এমনি দ্রুত পদোন্নতিও হয়।তাছাড়া প্রচন্ড চাপ ও চিন্তার সময় হাসতে পারলে স্ট্রেসও কমে যায়।যা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্যে করে।
সম্পর্কের বাঁধন-একাধিক গবেষনায় দেখা গেছে,সংগী সংগীনিরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বেশী সময় কাটলে তাদের সম্পর্ক দৃড় হয়।
* হাসি ব্যক্তিত্ব বাড়ায়।হাসিনূখের ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় বেশী আকর্ষক হয়।
* যেকোন ধরনের বিবাদ এড়াতে সাহায্যে করে মূখের হাসি।
বিশিষ্ট সাইকোলিষ্টদের মতে,হাসি সম্পুর্নভাবে নন ভার্বাল কমিউনিকেশন।সোজা কথায় শারিরীক ভাষা।একটু খেয়াল করলে বুঝবেন,বাচ্চরা কিন্তু অকারনে খিল খিল করে হাসে॥মূখে মিষ্টি হাসি ঝূলে থাকে বলেই তাকে কোলে নিতে ইচ্ছে করে।বা তার সাথে ভাব করার ইচ্ছে জাগে।
তিনি আরো বলেন,একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যখন মূখে হাসি ঝুলিয়ে রাখেন তখন তাকে অনেক বেশী সহজগম্য মানুষ বোধ হয়।সেক্ষেত্রে অন্যেরা তার সাথে নিজ থেকে এগিয়ে এসে কথা বলতে পারেন।তাছাড়া মানুষ সামাজিক জীব।যত বেশী মানুষের সাথ কথা হবে ও যোগাযোগ বাড়াবে তত বেশী একজন ব্যক্তি মানসিক ভাবে ভাল থাকবেন।তার আনন্দের সাথ কাজ করার প্রবনতা বাড়বে।তাছাড়া হাসতে পারলে আমাদের শরীর অনেকাংশেই রোগমুক্ত থাকেন।তাই শত ব্যস্ততায়ও নিজেকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন।
আপনার মতামত লিখুন :