[gtranslate]

শখের বিড়ালের নাম “মিনি”,রাখার জন্যে ফোষ্টার হোম-


ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : মার্চ ২৯, ২০২২, ৪:১৬ অপরাহ্ণ / ২৩৪
শখের বিড়ালের নাম “মিনি”,রাখার জন্যে ফোষ্টার হোম-

ছবি-মিনি

মাহাবুবুল আলম মুন্না-

বিড়াল একটি অত্যন্ত নিরিহ ও পবিত্র প্রানী।বিড়াল মানুষ সাথে থাকতে ও খেলতে বেশ স্বাছন্দ্যবোধ করে।তাই সব সময় মানুষের আশেপাশে ঘুরে।বিড়ালের উপর অনেকগুলো হাদিসও বর্নিত হয়েছে।বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়ররা(রা:)বিড়ালকে  খুবই ভালবাসতেন।এজন্য তাহার নাম আবু হুরায়রা(রা:)।অর্থাৎ বিড়ালের বাপ।বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ(স:) বিড়ালকে ভালবাসতেন।

এ বিষয়ে সুগন্ধার বাসিন্দা ইঊনিভার্সিটিতে আইন অনুষদে পড়ুয়া ছাত্রী রাশমিতা বলেন,আমি বিড়াল খুব পছন্দ করি।ছোটকাল থেকে আমার বিড়াল পালনের শখ ছিল।আমার বিড়ালের নাম”মিনি”।এখন এটা সবার খেলনার জিনিস।মাঝে মাঝে দূরে কোথাও যাওয়ার সময় রেখে একটু বেকায়দায় পড়ি।বাড়ীতে যাওয়ার সময় সাথে নিয়ে যায়।এই অবস্হায় ফোষ্টার হোম সময়ের দাবী।

এখন বিড়াল পালনের শখ অনেকেরই।শুধু তাই নয়,অনেকের আবার পরিবারের সদস্য বনে যায় বিড়াল।ফোষ্টার হোম নিয়ে বুশরা সিদ্দিকী বলেন,মাষ্টার্স পড়ুয়া বুশরা ঘরে দুইটি বিড়াল ছিল।সেই ভাবনা থেকে শখের বসে ২০১৮ সালে শুরু করেন “লিটল ফোষ্টার হোম”এর যাত্রা।

ইউএনবিকে বুশরা বলেন,আমার দুটি বিড়াল ছিল।বিড়ালদের সাথে খলতে আমার খুব ভাল লাগে।আমি চিন্তা করতাম,বিড়ালে সংখ্যা যদি আরো বাড়ানো যেতো।কিন্তু রাখার জায়গা ছিল না।তাই ফোষ্টার এর চিন্তা করলাম।প্রথমে বুশরা একটি রুম নিয়ে ফোষ্টার শুরু করে।মাষ্টার্স শেষ হওয়া পর্যন্ত ফোষ্টার চালু রাখার ইচ্ছে ছিল বুশরার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতোগুলো বিড়াল নিয়ে যে নেশা তার থেকে আর বের হতে পারেনি।এরপর ফেসবুকে একটি ফেইজ খুলি।এরপর অনেকের নিকট পৌঁছাতেই শুরু করি।

স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী এই দুই ধরনের সেবা ফোষ্টার হোম থেকে প্রদান করা হয়।স্বল্প মেয়াদী ফোষ্টার এর সময় ৩-৭ দিন।আর দীর্ঘমেয়াদি এক থেকে এক বছর।তাই খরচের তালিকাও ভিন্ন।

লিটল হোইস্কার ফর্ষ্টার হোমে রয়েছে চিকিৎসা সূবিধা।এ প্রসংগে প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার বুশরা সিদ্দীকি বলেন,ক্যাট ফ্লুর চিকিৎসা আমি করি না।এই চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আমার নাই।কিন্তু সাধারণত বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা আমি প্রদান করে থাকি।আমি একটি প্রজেক্টরের সাথে কাজ করি।যার নাম টিএনআর।এতে আমার নিকট বিভিন্ন জায়গা হতে বিড়াল আসে।এমন হয়েছে যে,যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে বিড়ালকে সুস্হ করে আবার নিয়ে গেছেন।

বিড়াল পালনের প্রবনতা বেড়েছে।তাই লালন পালনে সচতনতা না বাড়ালে নানান ব্যাধি হতে পারে।বিশেষ করে ব্রিডিং দিকে নজর দিতে হবে।

খুব অল্প পরিসর থেকে আজকের এই অবস্হানে “লিটল হুইস্কার ফোষ্টার হোমকে নিয়ে গেছেন বুশরা সিদ্দিকী।সেটি এখনো বড় আঁকার ধারন না করলেও ,বিড়ালদের প্রতি তার যত্নে কমতি রাখেন না তিনি।সেই প্রত্যয়ে এগিয়ে নিতে চান নিজের স্বপ্নকে নিয়ে।

বিডি টুডে নিঊজ-