(২য় খন্ড)
মিশনারি প্রতারনার একটি দিক দেখুন-
ঈসা আঃ এর জম্ম অলৌকিক।এছাড়া মৃতকে জীবিত করা,অন্ধ বা কুষ্ঠ রোগীকে সুস্হ করা ইত্যাদি মুজিযা তাকে প্রদান করা হয়েছিল।কিন্তু তার মর্যাদা আল্লাহর নিকট বেশী নয়।কারন প্রথমত আল্লাহ ঘোষনা।দ্বিতীয়ত জাগতিক ফলাফলও তা প্রমান করে।প্রচলিত বাইবেল থেকে বিচার করলে প্রমান হবে যে,হেদায়েতের ক্ষেত্রে ঈসা আঃ এর দাওয়াতের ফল সবচেয়ে কম।আল্লাহর হুকুমে তিনি তিনি রোগীকে সুস্হ করেছেন ও মৃতকে জীবিত করেছেন।বরং বাইবেল পড়লে মনে হয়-জিনভূত ছাড়ানো ছাড়া আর কোন বিশেষ কাজই ঈসা আঃ এর ছিল না।কিন্তু তিনি অনেক অবিশ্বাসীকে বিশ্বাসী করতে বা অনেক মৃত হ্রদয়কে জীবিত করতে পারেনি।আল্লাহর হুকুমে তিনি অন্ধকে দৃষ্টি শক্তি দিয়েছেন,কিন্তু বিশ্বাসের অন্ধকে চক্ষুদান করতে পারেনি।মাত্র ১২ জন বিশেষ শিষ্যের বিশ্বাস এতো দূর্রল ছিল যে,-একজন তাকে কয়েকটি টাকার বিনিময়ে পুলিশের হাতে সোপার্দ করল এবং তার প্রধান শিষ্য তার গ্রফতারের পর পুলিশের ভয়ে তাকে অস্বিকার করেন এবং গালিও দেন।(ইন্জিল শরীফ ও ঈসায়ী)
পক্ষান্তরে, মহান আল্লাহ তার সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাঃ কে অনেক অলৌকিকত্ব প্রদান করেছেন।তার সবচেয়ে বড় অলৌকিকত্ব হলো,লক্ষাধিক মানুষকে বিভ্রান্তির অন্ধত্ব থেকে বিশ্বাসের আলো প্রদান করা ও লক্ষাধিক মৃত হ্রদয়কে জীবন দান করা।কাজেই অলৌকিকত্ব সম্পর্কে দূর্বল ও অনির্ভরযোগ্য কথাবার্তাকে গুরুত্বপূর্ন মনে করা,সেগুলো রাসূল সাঃ এর মর্যাদার মাপকাঠি বা নবুয়তের প্রমান মনে করা ইসলামের মূল চেতনার বিপরীত।মুহাম্মদ রাসূল সাঃ এর মর্যাদা,নবুওয়াত ও শ্রেষ্টত্ব প্রমান করতে কুরানই যথেষ্ট।এর পাশাপাশি সহীহ হাদিস সমূহের ঊপর আমরা আমল করব।আমাদের মানবীয় বুদ্ধি,আবেগ বা যুক্তি দিয়ে কিছু বাড়ানো বা কমানোর কোন প্রয়োজন আল্লাহর দ্বীনে নাই।
বিডি টুডে নিঊজ
ডঃ খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাংগীর (রাহিমাহুল্লাহ) এর বই অবলম্বনে রচিত
আপনার মতামত লিখুন :