[gtranslate]

এতিমের দায়িত্ব নেওয়ার পর বরকতে ভরে গেছে সৌদি নারীর ঘর-


ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশের সময় : মে ২০, ২০২২, ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ / ১৫৫
এতিমের দায়িত্ব নেওয়ার পর বরকতে ভরে গেছে সৌদি নারীর ঘর-

ছবি- সংগৃহীত

নূরা দাঊদ নামের এক সৌদি নারী কয়েক বছর পূর্বে “আমাল”নামের এক এতিম শিশুকে সন্তান হিসেবে গ্রহন করেছিলেন।নূরা দাঊদ বলেন,আমালকে সন্তান হিসেবে গ্রহন করার পূর্বে আমার নিজের কোন সন্তান ছিল না।কিন্তু আমালের বরকতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে তিনটি সন্তানের নেয়ামত দান করেন।আলহামদুলিল্লাহ।গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে তুমুল চর্চা হচ্ছে।

নূরা দাঊদ বলেন,এতিম বাচ্ছাকে লালন পালনের উদ্দেশ্য হলো,মানুষকে এতিমদের প্রতি সদয় ব্যবহারে ঊদ্বুদ্ধ করা।নূরা দাউদ শুধু এই এতিম বাচ্ছাকে সন্তান হিসেবে গ্রহন করেনি বরং তার যথাযথ লালন পালন,শিক্ষা দীক্ষা,ও চরিত্র গঠনের প্রতিও যথেষ্ট যত্নবান ছিলেন।আমালের বয়স ছিল তখন চার বছর।

নূরা দাঊদ বলেন,যখন জানতে পারলাম আমি কোনদিন মা হতে পারব না,তখন একজন একজন এতিম শিশুকে সন্তান হিসেবে গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিলাম।এর ১৪ বছর পর কোন প্রকার চিকিৎসা ব্যতিত আল্লাহ আমাকে একটি মেয়ে সন্তান দান করলেন।তার নাম “সারা”।তারপর”বারা” নামের আরেক মেয়ে দুনিয়াতে আসে।তারপর”সাদ” নামের এক পূত্র সন্তানের জম্ম হয়।এতিম শিশুকে ঘরে আনার পর আমার ঘর আনন্দ সূখ ও বরকতে ভরপুর হয়ে গেছে।

নূরা দাঊদ বলেন,আমালের প্রতি পরিবারের সবার সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ন ও মহব্বত ময়।এতিম হওয়ার অনুভূতি তাকে স্পর্শ করতে পারে না।আমি তার প্রকৃত মা,সে আমার প্রকৃত সন্তান।

সূত্র-আল আরাবিয়া

বিডি টুডে নিঊজ