মাহাবুবুল আলম মুন্না-
হজ্ব আরবী শব্দ।এর আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা ।ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পালনার্থে নির্দিষ্ট সময়ে,নির্দিষ্ট তারিখে ,নির্দিষ্ট স্হান তথা কাবা শরীফ ও তৎ সংশ্লিষ্ট স্হান সমূহে জিয়ারত করার সংকল্প করাকে হজ্ব বলে।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,”আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাবাগৃহে যাতায়াতের জন্যে (দৈহিক ও আর্থিক ভাবে)সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তির ঊপর হজ্ব করা ফরজ।”(সূরা আল ইমরান-৯৭)
রাসূল সাঃ বলেন,অনিবার্য প্রয়োজন কিংবা অত্যাচারী শাসক বা কঠিন রোগ যদি(হজ্ব সামার্থবান)কোন ব্যক্তিকে হজ্ব পালনে বিরত না রাখে ,তবে সে যদি হজ্ব পালন না করে মারা যায়,সে যেন ইহুদী কিংবা নাসারার মতই মৃত্যুবরণ করে।”(দারেমি)
মুসলিম ঊম্মাহ ঐক্যের প্রতীক-এখানে বর্ন ও ভাষার ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাই এক কাতারে দন্ডায়মান হয়ে ,একই কন্ঠে ঊচ্ছারন করেন -“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক,লাব্বাইক লা শরীকালাকা লাব্বাইক,ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা ,লাকা ওয়ালামুলক,লা শরিকালাক।”অর্থাৎ আমি হাজির,হে আল্লাহ,আমি হাজির,নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও নিয়ামত আপনারই ,আর সব সাম্রাজ্যেও আপনার,আপনার কোন শরিক নাই।”
হজ্ব মুসলিম ঊম্মাহর জন্যে একটি বিশ্ব সম্মেলন এবং ইসলামী ঐক্যের প্রতীক।ফলে ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম।আল্লাহর পবিত্র ঘর দেখা থেকে শুরু করে বিদায়ী তওয়াফ পর্যন্ত প্রতিটি কাজই আল্লাহর একত্ববাদ।বিশ্ব মুসলমানদের ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য,সংহতির প্রশিক্ষন।হজ্ব করার মাধ্যমে একজন হাজ্বী নিজেকে জান্নাত যাওয়ার ঊপযোগী করে তোলে।রাসূল সাঃ বলেন,”মকবুল হজ্বের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়।”(বুখারি ও মুসলিম)
বিডি টুডে নিঊজ
একটি ইসলামিক মিডিয়া
আপনার মতামত লিখুন :