(২য় অংশ)
আত্ন অহংকার মনুষ্যত্ব ধ্বংস করার মতো একটি ব্যাধি,মনে ভালবাসার সংকট সৃষ্টি হলেই এর প্রাদূর্ভাব বেড়ে যায়।
অহংকার জম্ম হয় মূলত অজ্ঞানতা বা অজ্ঞতা থেকে।আত্ন অহংকার দূর করতে নিজেকে ছোট ভাবা চর্চা করতে হবে।আর নিজেকে ছোট ভাবা মানেই হচ্ছে,একজন অতন্দ্র জ্ঞান অর্জনকারী হওয়া।আমাদের সমাজে এ ধরনের লোকের বড়ই অভাব। সবাই নিজেকে একেকজন মহাজ্ঞানী ও গুরু ভেবে অন্যের মন শাসন করার জন্যে চেষ্টা করতে থাকে।তাই জ্ঞানের সীমিতের পরিসর অতিক্রম করে অসীমের জগতে প্রবেশ করতে পারে না।
কিছু লোক বিভিন্ন সমাবেশে গলা ঝাকিয়ে একই কথাকে ইনিয়ে- বিনিয়ে বার বার ঊপস্হাপন করে বুঝাতে চান ,জ্ঞান এরই ভিতর সীমাবদ্ধ।এর বাইরে গেলে নষ্ট হয়ে যাবে।শ্রোতার সংখ্যা বেশী দেখে নানা রকম অহংকারী কথা- বার্তা বলতে তাদের কোন হুস-জ্ঞান থাকে না এমনি রাস্তা-ঘাটে অজ্ঞানী লোকদের ঊৎপাত সইতে হয়,তারপর তথা কথিত জ্ঞানীদের ঊৎপাত সইতে হয় আরো বেশী মাত্রায়।
অহংকারের বিপরীত শব্দ হলো-বিশ্বাস,সংযম ও ভালোবাসা।আর অহংকারের সমার্থক শব্দ হলো-নির্মাতা।কথায় আছে যে যত অযোগ্য সে তত অহংকারী।জ্ঞান যদি অহংকারের প্রাসাদ ভেংগে চুরমার করে দিতে না পারে ,সে জ্ঞান গুরুত্ব ও তাৎপর্যহীন।
বিডি টুডে নিঊজ
আপনার মতামত লিখুন :