ছবি- সংগৃহীত
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক অস্হিরতা।বিশ্ববাজারে দাম বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের।বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে খাদ্যেসংকট।বাংলাদেশের এর প্রভাব পড়েছে।নত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম হু হু করে বেড়েই চলছে।নুন আনতে পান্তা ফুরাই” প্রবাদের মতো দিন পার করছে দেশের সাধারন জনগন।
সরকারের পক্ষ থেকে পন্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।তারপরও কোন সুফল মিলছে না।মূলত কিছু সংখ্যক অতি মুনাফালোভী ও অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।কোন একটি পন্যের দাম বৃদ্ধি পেলেই সাথে সাথে বাজরে সংকট পড়ে যায়।কারন অসাধু ব্যবসায়ীরা তখন অতিরিক্ত পন্যে গুদামে মজুদ করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করে।এটিই এখন তাদের ব্যবসায়িক সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে।নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা অন্ধ হয়ে যায়।
ফলে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট অসহায় মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে।রাসূল সাঃ বলেন,” কেঊ যদি মুসলমানদের থেকে নিজেদের খাদ্য শস্য গুদাম জাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে,আল্লাহ তার ঊপর মহামারি ও দারিদ্র চাপিয়ে দেন।”(ইবনে মাজাহ-২১৫৫)
অন্য এক হাদিসে আবু জার রাঃ থেকে বর্নিত রাসূল সাঃ বলেন,”আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তিন শ্রেনী লোকের সাথে কথা বলবেন না।তাদের দিকে তাকাবেনও না এবং তাদের পবিত্র করবেন না।বরং তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।তারা কারা? হে আল্লাহর রাসূল সাঃ!তিনি বলেন,”টাখনুর নীচে কাপড় পরিধানকারী,অনুগ্রহ করে খোটাদানকারী ও মিথ্যা শপথ করে পন্য বিক্রয়কারী।”(সহীহ মুসলিম-৩০৬)আল্লাহ তায়ালা ব্যবসায়ীদের ইসলামী শরিয়ত মতে ব্যবসা করার তৌফিক দান করুক।আমিন।
বিডি টুডে নিঊজ
আপনার মতামত লিখুন :