ছবি- সংগৃহীত
নবাব সিরাজ ঊদৌল্লাহ খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন।জীবনের সকল আয়,ব্যয় করেছেন সন্তানদের জন্যে।এক সন্তান সুইডেনে ও বাকী তিন জন ও মেয়ে আমেরিকায়।তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করানোর অজুহাতে সবাই এখন প্রবাসী।
একা বাসায় মরলেন।।ঊচ্ছশিক্ষিত একটি সন্তানও আসলেন না।জীবনের শেষ বেলাতেও অভিনয় করতে হয়েছে পেটের তাগিদে চাকর বাকর চরিত্রে।
দুই সন্তানের জনক সময়ের সাহসী কবি আল মাহমুদ।বনানীর বাড়ী বিক্রি করে সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়েছন।আর ফিরে আসে নি আদরের দুলালরা।কবি আজ নিজ গ্রামের বাড়ীর বিছানায় পড়ে আছেন।দেখার কেউ নাই।এক সময় চলে যাবেন না ফেরার দেশে।
সন্তান মেধাবী হলে বাবা মা তাদের পিছনে টাকা পয়সা খরচ করতে কৃপনতা করে না।বাড়ী,গাড়ী,সোনা গহনা বিক্রী করে দেয় তবুও বাবা মার আনন্দের সীমা থাকে না।অথচ সেই সন্তানগুলো বড় হয়ে ভাল পজিশনে পৌছে আরো ভাল পজিশনে পৌছার জন্যে,এক ধরনের অসুস্হ বিলাসিতার প্রতিযোগীতায় মেতে ঊঠে।চলে যায় বিদেশে।কেঊ বিদেশে যায় জীবিকার তাগিদে,আর কেঊ যায় বিলাসিতার জন্যে।কেঊ দেশের অর্থ বিদেশে নিয়ে গিয়ে ভোগ বিলাস করে আর কেঊ কষ্ট করে বিদেশে ঊপার্জিত অর্থ দেশে পাঠায়।দেশের অর্থনীতিতে তারা বিরাট ভূমিকা রাখে।এই শ্রমজীবি মানুষগুলোর প্রতি রইল শুভ কামনা।আর অমানুষগুলোর প্রতি রইল চরম ঘৃনা।তারা কষ্ট দেয় বাবা মাকে।শুধু বাবা মার ভরন পোষন করা সন্তানদের দায়িত্ব নয়।বাবা মার সাথে থেকে তাদেরকে সময় দেওয়াও দায়িত্বর অংশ।এই সব সৌখিন প্রবাসীরা বিরত থাকে সামাজিক,প্রতিবেশী ও আত্নীয়তার দায়িত্ব থেকে।হাই-হ্যালো করা দায়িত্বর অংশ নয়।এটা এক ধরনের লৌকিকতা।বিলাসিত করাই যদি একমাত্র বিদেশে যাওয়ার লক্ষ্যে আর ঊদ্দেশ্যে হয় তাহলে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত।কেননা এরা মূখোশদারি শতান
আজকাল বিদেশে যাওয়া একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।বৃদ্ধশ্রমগুলো আজ ঘুরে দেখে আসুন।৯০% উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তা ,ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার ও বিদেশীদের বাবা মা”রাই বৃদ্ধাশ্রমে।এরাই ঘটা করে পালন করে,মা আর বাবা দিবস।এই দিবসগুলো মূলত লোক দেখানো।খেটে খাওয়া মানুষরাই থাকে বাবা মার সাথে।
যে মেধার কারনে বাবা মাকে দুরে থাকতে হয়,যে মেধার কারনে বাবা মার কপালে ভাত জোটে না,সেসব সন্তানরা আজ অভিসপ্ত।তারা মহান আল্লাহর হেদায়ত ব্যতিত পরিবর্তন হওয়ার কোন সুযোগ নাই।তারা যুগের দৃষ্টিতে মানুষের মতন দেখতে,আসলেই তারা অমানুষ।
বিডি টুডে নিঊজ
আপনার মতামত লিখুন :